তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জে চামড়ার হাটে দাম পাচ্ছে না মধ্যস্বত্বভোগিরা। ফলে তারা মফস্বর থেকে যে দামে চামড়া কিনেছেন তার অর্ধেক দামেও বিক্রি করতে পারছেন না। এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা। রংপুর বিভাগের বড় চামড়ার হাট হিসাবে পরিচিত তারাগঞ্জের প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার চামড়ার হাট বসে। গতকাল রোববার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার চামড়া অবিক্রিত হয়ে পড়ে আছে। যে পরিমাণ চামড়া হাটে উঠেছে সেগুলো কেনার মত ক্রেতা হাটে আসেনি।
খুচরা ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা জানায়, তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে বা স্থানীয়ভাবে চামড়া সংগ্রহ করে প্রতি পিস চামড়ার দাম পড়েছে গড়ে ৭৫০ টাকা থেকে ৯শ’ টাকা। সেখানে মহাজন, ট্যানারি মালিক ও এজেন্টরা দাম বলছেন ৪শ’ টাকা থেকে ৬শ’ টাকা। অনেকেই ১শ’ থেকে ৩শ’ পিস চামড়া নিয়ে হাটে এসেছেন। প্রতি পিস চামড়ায় লাভের পরিবর্তে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে। তারাগঞ্জ চামড়ার হাটে আসা ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ৪শ’ পিচ চামড়া প্রতি পিস ৫শ’ টাকা ও ২শ’ পিচ চামড়া ২শ’ টাকা দামে ঢাকার চামড়া ব্যবসায়ী মুকুল মিয়ার কাছে বিক্রি করেছেন। এতে করে তিনির লোকসানের মধ্যে পড়েছেন। সৈয়দপুর সংলগ্ন রাবেয়া আটোমেইল এলাকার বাসিন্দা চামড়া ব্যবসায়ী যতুন কুমার রায় বলেন, এত ক্ষতি করি কি আর ব্যবসা করা যায়। তিনি ২শ’ পিস চামড়া সাড়ে ৩শ’ টাকা দামে কিনে এনে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী মনু মিয়ার কাছে ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, লেবার খরচ, চামড়ায় লবন দেয়া ও পিকাপ খরচ সহ প্রতিটি চামড়ায় ৪২০ থেকে ৪৩০ টাকার মত খরচ পড়েছে। কিন্তু লাভ তো দুরের কথা আসল টাকা নিয়ে টানাটানি। হাট ইজরাদারের প্রতিনিধি খালেক মেম্বার ও এজেন্ট মোজাজুল ইসলাম বলেন, ট্যানারি এজেন্ট নোয়াখালির সোলেমান, ফুলবাড়ীর বাদশাসহ ১০৯ চামড়া ব্যবসায়ীর কাছে ফড়িয়া, খুচরা ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা প্রায় ৪০ থেকে ৪২ লাখ টাকা পাওয়ায় ওই এজেন্ট ও ব্যবসায়ীরা এবার হাটে চামড়া নিতে আসেননি। তাই হাটে চামড়া পড়ে আছে। তবে তারা আশা করছেন সামনের বৃহস্পতিবার তারাগঞ্জ হাটে চামড়া কিনতে ওই ব্যবসায়ীরা আসলে চামড়ার দাম কিছুটা বেশি পাওয়া যাবে।
All Rights Reserved By Fasttv24
Design and Developed By Goodluck iT